হেলথ ডেস্ক, ১০ এপ্রিল ২০২০ইং (দেশপ্রেম রিপোর্ট): করোনায় মৃত ব্যক্তির তথ্য গোপন রেখে দাফন করা হয়েছে গত বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় । পরে জানাজানি হলে এলাকায় আতংক ছড়াতে থাকে। বিষয় টি উপজেলা প্রশাসন জানার পর উপজেলার ইছাপুরা ইউনিয়নের পশ্চিম শিয়ালদী গ্রামের ১০টি বাড়ি লকডাউন করা হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশফিকুন নাহার বলেন, নিহতের ভাই হাফেজ জাকারিয়া, নিকট আত্মীয় বাবু তালুকদার, নুরুজ্জামান, সফিউল্লাহসহ ১০টি বাড়িতে লকডাউন করে লাল নিশানা টানিয়ে দেওয়া হয়েছে। বাড়িঘর গুলোতে প্রবেশ ও বাইরে বেরুতে না পারে সে জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
উপজেলার ইছাপুরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন হাওলাদার জানান, বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টার দিকে উপজেলার ইছাপুরা এলাকার আল জামিয়াতুল ইসলামিয়া মুস্তফাগঞ্জ মাদরাসা প্রাঙ্গনে করোনা আক্রান্ত ব্যক্তি মো. আব্দুল্লাহ আল ফারুকীর জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় সহস্রাধিক মুসল্লি অংশ নেন। ওই মাদরাসার মুহতামিম ফারুকী পশ্চিম শিয়ালদি গ্রামের মমতাজ উদ্দিন মুন্সীর ছেলে। পরে নিজ গ্রামের বেপারী বাড়ির কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
ইউপি চেয়ারম্যান আরো জানান,বেশ কিছু দিন যাবৎ সে অসুস্থ্য ছিল বুধবার গুরুতর অসুস্থ্য হলে ঢাকার গেন্ডারিয়ার বাড়ি থেকে আব্দুল্লাহ আল ফারুকীকে প্রথমে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হয়। ওই দিনই তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। এ সময় সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসকরা করোনা উপসর্গ দেখতে পেলে তার নমুনা সংগ্রহ করেন। পরে ওই দিন বিকাল দিকে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে রাজধানীর কুর্মিটোলা হাসপাতালে পাঠায় ঢামেকের চিকিৎসকরা।
এদিকে কুর্মিটোলা হাসপাতালে নেওয়ার পরপরই সেখানকার চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ সময় তার স্বজনরা আব্দুল্লাহর করোনা আক্রান্ত সন্দেহে নমুনা সংগ্রহ করার তথ্য গোপন করে লাশ নিয়ে চলে আসেন। পরবর্তীতে বৃহস্পতিবার সকালে নিজ গ্রামের বাড়িতে লাশ দাফন করেন। দাফনের বেশ কয়েক ঘন্টা পর রাতের দিকে জানা যায় তিনি করোনায় আক্রান্ত ছিলেন।
Leave a Reply